About

.

ওজন কমানোর কিছু নিয়মকানুন



ওজন কমানোর জন্য মানুষ কতশত পরিকল্পনাই না করে থাকে। কিন্তু কিছু দিন পর সব ভুলে আবার আগের মতোই দেদারসে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন একটি নিয়মমাফিক জীবনযাত্রা। আর এর জন্য একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা, নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী ব্যায়াম ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন।


পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার তালিকায় চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখতে হবে। তালিকায় কোন খাবার ও পানীয় থাকবে বা থাকবে না তা বুঝেশুনে পরিকল্পনা করতে হবে। দোকানের সস্তা খাবার পরিত্যাগ করে ঘরে বানানো খাবার খেতে হবে। প্রতি সপ্তাহের খাবারের তালিকা তৈরি করতে হবে।


শুধু মুখে বললেই হবে না, প্রতিদিনের ব্যায়ামের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এর ফলে নিজেকে ফুরফুরে মনে হবে। কাজের প্রতি আগ্রহ জাগবে। মনোযোগ বাড়বে। মাঝে মাঝে মজার কিছু ব্যায়ামও করতে হবে, যাতে একঘেয়েমি না হয়।


যারা ডায়েট করে তাদের পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। কারণ রাতে ভালো ঘুম না হলে শরীরের ওপর প্রভাব পড়ে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুমায় অন্যদের চেয়ে তাদের দ্বিগুণ চর্বি কমে যায়। এ ছাড়া ঘুমের সমস্যা হলে এর প্রকৃত কারণও বের করার পরামর্শ দেয়া হয়।

ফুসফুস রক্ষায় দুই মিনিট দাঁত ব্রাশ!


ফুসফসকে রোগমুক্ত রাখতে দিনে রাতে দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি গবেষকরা দেখেছেন, মুখের জীবাণু ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।
এ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার ও ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) হয়। তবে সম্প্রতিক গবেষণা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় যে মাড়ির জীবাণুর সিওপিডি রোগের জন্য সরাসরি দায়ী কিনা। কিন্তু এ রোগে আক্রান্তদেরসহ অন্যান্য ফুসফুসের রোগীদের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, মাড়ির জীবাণু ফুসফুসের নানা রোগের জন্য দায়ী। কিন্তু কিভাবে জীবাণুগুলো এ রোগের জন্য দায়ী তা সুস্পষ্টভাবে এখনো জানা না গেলেও তারা একটা ধারণা দিয়েছেন।
তাদের মতে, দাঁতের প্লাকে মাড়িতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে প্রবেশ করে শুধু সিওপিডিই নয়, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা রোগের কারণ। তাই উচিত প্রতিদিন দুইবার দুই মিনিট করে ব্রাশ করা। সম্ভব হলে প্রতিবার খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে আঙ্গুর

আপনি কি জানেন যে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে আঙ্গুর। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গবেষক এ কথা বলেছেন। নিউইয়র্কে ফোর্ড হাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক সিলভিয়া ফেনিম্যান বলেছেন, নিয়মিত আঙ্গুর খেলে বেশি বয়সে অন্ধত্বের আশঙ্কা কম থাকে।
আঙ্গুরে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি থাকার ফলে এ ফলটি দৃষ্টিশক্তির সাথে সম্পর্কিত কোষগুলোকে সুস্থ ও কার্যকর রাখে।
ফ্রি রেডিক্যাল বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে আঙ্গুর বা আঙ্গুর দিয়ে তৈরি খাবার চোখের রেটিনার ক্ষয়কে রোধ করে ফলে এ খাবারটি অন্ধত্বকে প্রতিরোধ করতে বেশ উপকারী।
আঙ্গুরে থাকা লিউটিন বা ধাতব জাতীয় এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে বলে জানান ফেনিম্যান। উল্লেখ্য, সবুজ শাকসবজি এবং ডিমের কুসুমে প্রচুর লিউটিন পাওয়া যায়।

দেহের বাড়তি ওজন কমায় পেঁয়াজ

আমাদের দেশে রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার হয় অহরহ। কিন্তু এটি সরাসরি তরকারি হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে এবং তা হতে পারে শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর। একই সাথে এটি কমাতে পারে আপনার শরীরের বাড়তি ওজনও।
কারন আপনি জেনে থাকবেন যে পেঁয়াজে আছে উচ্চমানের সালফার যৌগ। আর এর কারণেই পেঁয়াজ কাটলে আমাদের নাকে ঝাঁঝালো গন্ধ লাগে  চোখে পানি চলে আসে। তবে এ বস্তুটিই আবার আমাদের অনেক উপকারে আসে। গবেষকেরা বলছেন, পেঁয়াজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত পেঁয়াজ সমৃদ্ধ তরকারি বা পেঁয়াজের তরকারি খেলে উপকার পাবেন।
শুধু তাই নয়, পেঁয়াজ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়। সুতরাং যারা পেঁয়াজ খান তারা খানিকটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। পেঁয়াজ ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর ২০ ভাগ মেটানো সম্ভব একটা পেঁয়াজ থেকেই।