About

.

বিষন্নতা


লক্ষণ ও উপসর্গ
১. দু:খবোধ এবং হতাশাগ্রস্ততা মনে চেপে বসা এবং সহজে দূর না হওয়া|
২. নিজেকে মূল্যহীন মনে হওয়া, আশাহীনতা এবং নিজেকে অপরাধী মনে হওয়া এবং এ সংক্রান্ত তীব্র মনোকষ্ট।
৩. খাওয়া দাওয়া, কাজ, যৌন সংসর্গ কিংবা সম্পর্কের মধ্যে কিংবা জীবনের অন্যান্য দিকগুলোর প্রতি আগ্রহ হারানো এবং কোন আনন্দ না পাওয়া।
৪. অবসাদগ্রস্ততা এবং শক্তিহীনতা|
৫. ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া যেমন ইনসমনিয়া (নিদ্রাহীনতা), কিংবা বেশি ঘুমানো, কিংবা ভোরের আগেই প্রায়ই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
৬. কোন কিছু মনে রাখতে বা মনোসংযোগ করতে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং সাধারণ কাজগুলো সমাধা করতে সমস্যা হওয়া; ঠিকমতো করতে না পারা, এবং মনে হওয়া যেন খুব ধীর গতিতে চলা ফেরা চলছে।
৭. প্রায়ই মনে আত্মহত্যা কিংবা মৃত্যুর চিন্তা আসা|
৮. শারীরিক অসুþহতার কারণে মানসিক বিরক্তি - যেমন মাথা ব্যথা, কিংবা পাকþহলিতে ব্যথা যেটা চিকিৎসাতেও সেরে ওঠে না।
৯. অস্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়া কিংবা কমা।

কী করা উচিত
১. বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করুন।
২. যেসব মানুষ আপনাকে মূল্যায়ন করে এবং আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাদের সাহায্য গ্রহণ করুন।
৩. বিষন্নতার বিষয়ে নিজের জ্ঞান বাড়ান। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই পাওয়া সম্ভব।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার বা আপনার বাচ্চার মধ্যে বা কারোর মধ্যে আত্মহত্যা করার মতো চিন্তা জন্ম নেয়, কিংবা বিষন্নতায় আক্রান্ত হয় এবং বিষন্নতা যদি সহজে মন থেকে দূর না হয়।
২. যদি বিষন্নতার দরুন আপনার কাজ, পড়ালেখা কিংবা সম্পর্কগুলো তীব্রভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকে। মনোবিজ্ঞানী এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা এই সংক্রান্ত রোগগুলোর চিকিৎসায় পারদর্শী।
৩. এরা কাঠামোগতভাবে ভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, যেমন ব্যক্তিবিশেষে সাইকোথেরাপি (কথা বলার মাধ্যমে থেরাপি) এবং বিষণíতানিরোধোক ওষুধপত্র দিয়ে থাকেন।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. নিজেকে সবকিছু থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।
২. যখন আপনার মন বিষণí হযে উঠবে তখন একজন বন্ধু কিংবা অন্য কাউকে খুঁজে নিন যার সাথে কথা বলে আপনি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং তাকে আপনার বিষণíতার কারণ জানান।
৩. সক্রিয় থাকুন, কাজে নিমগ্ন থাকুন। গবেষণা থেকে দেখা যায় নিয়মিত শরীর চর্চা করলে মন ভালো থাকে।
৪. যথেষ্ট সময় নিয়ে ঘুমাবার চেষ্টা করুন।
৫. সুষম খাদ্য আহার করুন।

0 comments:

Post a Comment