About

.

ওভার ইউজ ইনজুরিজ

লক্ষণ ও উপসর্গ
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের দরুন সমস্যার সূপ্ত বা অজ্ঞাত অসুবিধাটি হলো এটা কাজের সাথে সাথে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রায়ই নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়:
১. প্রথমত, আক্রান্ত স্থানে একটা একঘেয়ে ক্রমাগত ব্যথা কিংবা অস্বস্তি থাকে এবং সাধারণ অবসাদ লক্ষ্য করা যায় (অতি ব্যবহারের সাধারণ প্রভাব)|
২. ব্যথা আরও তীব্র হয়ে ওটে এবং একটি নির্দিষ্ট স্থানেই থমকে থাকে (অধিকাংশ সময়ে একটি নির্দিষ্ট অংশেই ব্যথা অনুভূত হয়, যেমন হাটুতে, নিতম্বে কিংবা বাহুতে।)


৩. ব্যথা দিনের পর দিন স্থায়ী থাকে এবং প্রায়ই আক্রান্ত স্থান ফুলে ওঠে।
৪. ব্যথা এবং ফুলে ওঠা এতোটাই তীব্র হয়ে ওঠে। যে কাজের জন্যে এই ব্যথা এবং ফুলে উঠার জন্ম সে কাজও বিঘিíত হতে শুরু হয়।
৫. ব্যথা এবং ফুলে ওঠার দরুন সাধারণ দৈনন্দিন কাজ কর্ম যেমন হাটা চলা কিংবা দাড়িয়ে থাকা ইত্যাদিতেও বিঘí ঘটে।

কী করা উচিত

১. সেই বিশেষ কাজটি করা কমিয়ে দিন কিংবা বন্ধ করে দিন।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
৩. প্রতিদিন তিনবার, প্রতিবার ১৫ মিনিট করে ব্যথার স্থানে বরফ চেপে রাখুন।
৪. একটা ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ ফুলে ওঠা জায়গাটার উপর বেধে দিন। মৃদুভাবে বাধবেন তবে যেন সেটা ফোলা স্থানের উপর যথেষ্ট প্রভাব রাখতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। ফুলে ওঠা কমে না যাওয়া পর্যন্ত ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
৫. যখন ফুলে ওঠা এবং ব্যথা অপসারিত হবে বা সেরে যাবে তখন ধীরে ধীরে আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম আবার শুরু করুন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

১. এক সপ্তাহ ঘরোয়া চিকিৎসাতেও যদি কোন কাজ না হয়।
২. ব্যথা যদি আপনার দৈনন্দিন কাজ কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

১. যদি আপনি কোন পরিশ্রম সাপেক্ষ কাজ করেন কিংবা খেলাধুলা করেন যেমন দৌড়ানো, টেনিস খেলা, কিংবা সাতার কাটা ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে এগুলো করার আগে ৪৮ ঘন্টার বিরতি রাখবেন।
২. কোন খেলা বা কাজের সময় একসাথে অনেক বেশি বাড়িয়ে ফেলবেন না, এবং খুব বেশি পরিমাণেও করবেন না। যেমন, যদি আপনি প্রতি সপ্তাহে দশ মাইল হাটেন কিংবা দৌড়ান, সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে দৌড়াবার বা হাটবার মাত্রা এক মাইলের বেশি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না।
৩. যদি আপনার কোন শারীরিক সমস্যা থাকে তবে সে অনুযায়ী আপনার কাজ কর্মগুলোকে পরিবর্তন করে নিন।
৪. আপনার পায়ের সাথে ঠিক মতো মাপে হয় এরকম জুতো এবং আরামদায়ক জামা কাপড় পরিধান করুন।
৫. ব্যায়াম শুরু করার আগে নিজেকে হালকা শরীর চর্চার মাধ্যমে চাঙ্গা করে তুলুন।
৬. আপনার কর্মক্ষেত্র যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

0 comments:

Post a Comment