লক্ষণ ও উপসর্গ
ইস্ট ইনফেকশান বা ছত্রাকের সংক্রমন:
১. আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ওঠা এবং চুলকানো|
২. পস্রাব করার সময়ে জ্বালা পোড়া হওয়া (মাঝে মধ্যে)।
৩. যৌন মিলনের সময় ব্যথা হওয়া|
৪. গন্ধহীন পিচ্ছিল চিজের মতো সাদা রঙ্গের পদার্থ নিসৃত হওয়া (মাঝে মধ্যে)|
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
১. যোনী দিয়ে মাছের মতো আঁশটে গন্ধের পানির মতো ধূসর, সাদা কিংবা হলদেটে পদার্থের নির্গমন।
২. মৃদু জ্বালাপোড়া হওয়া কিংবা চুলকানি হওয়া।
স্পর্শ জনিত ত্বকের প্রদাহ বা কন্টাক্ট ডারমাটিটিজ:
১. ভলভার রঙ লাল হয়ে ওঠা এবং চুলকানির অনুভব হওয়া (যৌনাঙ্গের চারপাশের অংশে)
কী করা উচিত
ইস্ট ইনফেকশান বা ছত্রাকের সংক্রমন:
১. যোনীদ্বার শুষ্ক রাখুন, বিশেষত পস্রাব করার পর এবং স্নানের পর|
২. ছত্রাক বাহিত রোগের ক্ষেত্রে ডিসপেন্সারি থেকে কোন ছত্রাক নিরোধোক সাপোজিটরি ক্রিম কিনে ব্যবহার করুন, তবে লক্ষ্য রাখবেন ক্রিমটিতে যেন মাইকোনজল কিংবা ক্লটরিমাজল নামক উপাদান থাকে।
৩. যদি পস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় সেক্ষেত্রে একটা প্লাস্টিকের কাপের তলি কেটে সেটা যোনির উপর চেপে ধরে পস্রাব করতে পারেন, এতে করে পস্রাবের সময় সংবেদনশীল ত্বকে চাপ পড়ে এবং উপকার পাওয়া যায়, কিংবা একটা স্কোয়ার্ট বোতল (যে বতোল দিয়ে স্প্রে করা যায়)-এ উষä জল নিয়ে সেটা দিয়ে পস্রাবের সময় ভলভা বা যোনীদ্বারের উপর স্প্রে করতে পারেন।
৪. এই সমস্যা যাতে আবার না হয় সে জন্যে ওষুধগুলো ঠিকমতো সেবন করুন যতদিন না সমস্যা পুরোপুরি সেরে যায়, এমনকি সেরে যাবার পরও কিছুদিন ওষুধ সেবন করুন।
স্পর্শ জনিত ত্বকের প্রদাহ বা কন্টাক্ট ডারমাটিটিজ:
১. আক্রান্ত ত্বকে বা চুলকানি যেখানে হবে সেখানে ঠাণ্ডা তুলোর পিণ্ড বা কাপড় চেপে ধরে রাখুন কিংবা হাইড্রোকরটিসান নামক ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
২. আপনার আন্ডারওয়্যার ডিটারজেন্ট দিয়ে ধূয়ে ফেলার পর আবার সেটা পরিস্কার পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি ঋতুস্রাবের সময়ের মধ্যবর্তী সময়টাতেও আপনার পস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয় কিংবা মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তির পরও যদি রক্ত বের হয়; যদি যোনীর ভেতরে কিংবা যোনীদ্বারের উপর শক্ত গোটা হয়, কিংবা যোনীতে ক্রমাগত ব্যথা থাকে বা চুলকানি হয়। সেক্ষেত্রে এগুলো যোনীর কিংবা ভলভা বা যোনীদ্বারের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
২. যদি আপনার যোনী দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত হলদে কিংবা সবুজাভ পদার্থ বের হয়। এটা হয়তো যৌন সংসর্গের দরুন সংক্রামিত কোন রোগের লক্ষণ।
৩. যদি আপনি ব্যাকটেরিয়াল ভেজিনোসিস-এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ডাক্তার হয়তো আপনাকে মুখে সেবনযোগ্য কোন এন্টিবায়োটিক দিতে পারে।
৪. যদি প্রথমবারের জন্যে আপনি এই লক্ষণগুলো দেখে থাকেন কিংবা যদি বছরে দুই বারের বেশি এই সমস্যায় আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
৫. যদি লক্ষণগুলো ঘরোয়া চিকিৎসা, বা ডাক্তারি পরামর্শতেও না সারে, কিংবা যদি লক্ষণগুলো অত্যন্ত তীব্র হয়।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. মলদ্বার থেকে যেন যোনীতে কোন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে মধ্যবর্তী অংশটুকু ভালোভাবে পরিস্কার করবেন।
২. সুগন্ধ যুক্ত টয়লেট পেপার, কিংবা সাবান, কিংবা মহিলাদের স্বাþহ রক্ষার স্প্রে (ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে), ডুশ, কিংবা ট্যাম্পুন ব্যবহার করবেন না।
৩. প্রতিবার ব্যবহারের পর ডায়াফরাম, সারভিকাল ক্যাপ এবং স্পার্মিসাইডাল এ্যাপ্লিকেটর ভালোভাবে পরিস্কার করবেন।
৪. টাইট প্যান্ট, প্যান্টি কিংবা প্যান্টিহোজ কিংবা অন্যান্য পোশাক আশাক যেগুলোর ভেতরে আদ্রতা জমা হয়ে থাকতে পারে সেগুলো পরিধান করবেন না|
৫. যদি আপনি কোন এন্টিবায়োটিক সেবন করেন সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন ইস্ট ইনফেকশন থেকে রেহাই পাবার জন্যে ছত্রাক নিরোধোক বা এন্টাইফাঙ্গাল ক্রিম যোনীদ্বার বা ভলভায় ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
৬. প্রতি মাসে নিজের যোনীদ্বার পরীক্ষা করে দেখুন যোনীদ্বারের ত্বকে কোন পরিবর্তন আছে কি না।
৭. প্রতি বছর অন্তত একবার পেলভিক এবং প্যাপ স্মিয়ার- পরীক্ষা বা টেস্টগুলো করে দেখুন।
৮. যদি আপনার যৌনাঙ্গে আঁচিলের মতো কোন গোটা থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসে একবার প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করুন - ডাক্তার যদি বলে থাকে যে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা রয়েছে, কিংবা যদি আপনার মা ডিইথাইলস্টিলবেস্ট্রল বা ডিইএস নামক মাদক গ্রহণ করে থাকে, যদি আপনি হিসটারেকটমি কিংবা রেডিয়েশন থেরাপি, কিংবা যদি একজনের বেশি সঙ্গির সাথে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন সেক্ষেত্রে যৌন সংসর্গে সংক্রামিত রোগ এবং যোনীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অন্যান্যদের তুলনায় আপনার ঝুঁকি বেশি।
ইস্ট ইনফেকশান বা ছত্রাকের সংক্রমন:
১. আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ওঠা এবং চুলকানো|
২. পস্রাব করার সময়ে জ্বালা পোড়া হওয়া (মাঝে মধ্যে)।
৩. যৌন মিলনের সময় ব্যথা হওয়া|
৪. গন্ধহীন পিচ্ছিল চিজের মতো সাদা রঙ্গের পদার্থ নিসৃত হওয়া (মাঝে মধ্যে)|
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
১. যোনী দিয়ে মাছের মতো আঁশটে গন্ধের পানির মতো ধূসর, সাদা কিংবা হলদেটে পদার্থের নির্গমন।
২. মৃদু জ্বালাপোড়া হওয়া কিংবা চুলকানি হওয়া।
স্পর্শ জনিত ত্বকের প্রদাহ বা কন্টাক্ট ডারমাটিটিজ:
১. ভলভার রঙ লাল হয়ে ওঠা এবং চুলকানির অনুভব হওয়া (যৌনাঙ্গের চারপাশের অংশে)
কী করা উচিত
ইস্ট ইনফেকশান বা ছত্রাকের সংক্রমন:
১. যোনীদ্বার শুষ্ক রাখুন, বিশেষত পস্রাব করার পর এবং স্নানের পর|
২. ছত্রাক বাহিত রোগের ক্ষেত্রে ডিসপেন্সারি থেকে কোন ছত্রাক নিরোধোক সাপোজিটরি ক্রিম কিনে ব্যবহার করুন, তবে লক্ষ্য রাখবেন ক্রিমটিতে যেন মাইকোনজল কিংবা ক্লটরিমাজল নামক উপাদান থাকে।
৩. যদি পস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় সেক্ষেত্রে একটা প্লাস্টিকের কাপের তলি কেটে সেটা যোনির উপর চেপে ধরে পস্রাব করতে পারেন, এতে করে পস্রাবের সময় সংবেদনশীল ত্বকে চাপ পড়ে এবং উপকার পাওয়া যায়, কিংবা একটা স্কোয়ার্ট বোতল (যে বতোল দিয়ে স্প্রে করা যায়)-এ উষä জল নিয়ে সেটা দিয়ে পস্রাবের সময় ভলভা বা যোনীদ্বারের উপর স্প্রে করতে পারেন।
৪. এই সমস্যা যাতে আবার না হয় সে জন্যে ওষুধগুলো ঠিকমতো সেবন করুন যতদিন না সমস্যা পুরোপুরি সেরে যায়, এমনকি সেরে যাবার পরও কিছুদিন ওষুধ সেবন করুন।
স্পর্শ জনিত ত্বকের প্রদাহ বা কন্টাক্ট ডারমাটিটিজ:
১. আক্রান্ত ত্বকে বা চুলকানি যেখানে হবে সেখানে ঠাণ্ডা তুলোর পিণ্ড বা কাপড় চেপে ধরে রাখুন কিংবা হাইড্রোকরটিসান নামক ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
২. আপনার আন্ডারওয়্যার ডিটারজেন্ট দিয়ে ধূয়ে ফেলার পর আবার সেটা পরিস্কার পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি ঋতুস্রাবের সময়ের মধ্যবর্তী সময়টাতেও আপনার পস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয় কিংবা মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তির পরও যদি রক্ত বের হয়; যদি যোনীর ভেতরে কিংবা যোনীদ্বারের উপর শক্ত গোটা হয়, কিংবা যোনীতে ক্রমাগত ব্যথা থাকে বা চুলকানি হয়। সেক্ষেত্রে এগুলো যোনীর কিংবা ভলভা বা যোনীদ্বারের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
২. যদি আপনার যোনী দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত হলদে কিংবা সবুজাভ পদার্থ বের হয়। এটা হয়তো যৌন সংসর্গের দরুন সংক্রামিত কোন রোগের লক্ষণ।
৩. যদি আপনি ব্যাকটেরিয়াল ভেজিনোসিস-এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ডাক্তার হয়তো আপনাকে মুখে সেবনযোগ্য কোন এন্টিবায়োটিক দিতে পারে।
৪. যদি প্রথমবারের জন্যে আপনি এই লক্ষণগুলো দেখে থাকেন কিংবা যদি বছরে দুই বারের বেশি এই সমস্যায় আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
৫. যদি লক্ষণগুলো ঘরোয়া চিকিৎসা, বা ডাক্তারি পরামর্শতেও না সারে, কিংবা যদি লক্ষণগুলো অত্যন্ত তীব্র হয়।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. মলদ্বার থেকে যেন যোনীতে কোন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে মধ্যবর্তী অংশটুকু ভালোভাবে পরিস্কার করবেন।
২. সুগন্ধ যুক্ত টয়লেট পেপার, কিংবা সাবান, কিংবা মহিলাদের স্বাþহ রক্ষার স্প্রে (ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে), ডুশ, কিংবা ট্যাম্পুন ব্যবহার করবেন না।
৩. প্রতিবার ব্যবহারের পর ডায়াফরাম, সারভিকাল ক্যাপ এবং স্পার্মিসাইডাল এ্যাপ্লিকেটর ভালোভাবে পরিস্কার করবেন।
৪. টাইট প্যান্ট, প্যান্টি কিংবা প্যান্টিহোজ কিংবা অন্যান্য পোশাক আশাক যেগুলোর ভেতরে আদ্রতা জমা হয়ে থাকতে পারে সেগুলো পরিধান করবেন না|
৫. যদি আপনি কোন এন্টিবায়োটিক সেবন করেন সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন ইস্ট ইনফেকশন থেকে রেহাই পাবার জন্যে ছত্রাক নিরোধোক বা এন্টাইফাঙ্গাল ক্রিম যোনীদ্বার বা ভলভায় ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
৬. প্রতি মাসে নিজের যোনীদ্বার পরীক্ষা করে দেখুন যোনীদ্বারের ত্বকে কোন পরিবর্তন আছে কি না।
৭. প্রতি বছর অন্তত একবার পেলভিক এবং প্যাপ স্মিয়ার- পরীক্ষা বা টেস্টগুলো করে দেখুন।
৮. যদি আপনার যৌনাঙ্গে আঁচিলের মতো কোন গোটা থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসে একবার প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করুন - ডাক্তার যদি বলে থাকে যে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা রয়েছে, কিংবা যদি আপনার মা ডিইথাইলস্টিলবেস্ট্রল বা ডিইএস নামক মাদক গ্রহণ করে থাকে, যদি আপনি হিসটারেকটমি কিংবা রেডিয়েশন থেরাপি, কিংবা যদি একজনের বেশি সঙ্গির সাথে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন সেক্ষেত্রে যৌন সংসর্গে সংক্রামিত রোগ এবং যোনীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অন্যান্যদের তুলনায় আপনার ঝুঁকি বেশি।
0 comments:
Post a Comment