About

.

Tendinitis ট্যানডিনিটিস

লক্ষণ ও উপসর্গ
১. কোন অস্থীসংযোগে ব্যথা কিংবা নাজুক অবস্থা, প্রায়ই নড়াচড়া এবং বিশেষত রাতে বিছানায় ঘুমাবার সময় এই ব্যথার আবির্ভাব হয়।
২. পেশিতে টান লাগা।


কী করা উচিত
১. যতক্ষণ না আক্রান্ত স্থানের ফুলে ওঠা কিংবা ব্যথা কম না হচ্ছে বা সেরে না উঠছে ততক্ষণ আক্রান্ত স্থানটিকে বিশ্রাম দেয়া।


২. যদি দেহের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অতি ব্যবহারের দরুন এই ব্যথার উদ্রেক হয়ে থাকে এবং আপনি যদি সেই অস্থীসংযোগকে বিশ্রাম দিতে অপারগ হন সেক্ষেত্রে আক্রান্ত অঙ্গের সাথে একটি স্পিলিন্ট (সহায়ক উপাদান) ব্যবহার করুন।
৩. ব্যথা এবং ফুলে ওঠা থেকে নিরাময়ের জন্যে প্রদাহ নিরোধোক ওষুধ যেমন ইবুপ্রোফেন কিংবা এ্যাসপিরিন সেবন করতে পারেন।
৪. যদি অতিরিক্ত কাজের চাপে কিংবা কোন আঘাতের ফলে আপনি ট্যানডিনিটিসে আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে আক্রান্ত অস্থীসংযোগে বরফের টুকরো ১০ থেকে ৩০ মিনিট চেপে ধরে রাখুন যাতে করে স্থানটি ফুলে না ওঠে। তারপর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট বন্ধ রাখুন এবং আবার বরফের টুকরো চেপে ধরুন। যতো বার সম্ভব এরকম করুন। দুই দিন পর, একটা টাওয়েল গরম পানিতে চুবিয়ে চিপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরুন যাতে ব্যথা কমে যায়।


কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আক্রান্ত স্থানের চারপাশের অংশ বেরঙ হয়ে যায় এবং সেখানে ত্বকের বিকৃতি ঘটে।
২. বিশ্রাম এবং ব্যথা নাশক চিকিৎসা এবং ওষুধ সেবন সত্তেও দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা এবং ফুলে ওঠা না সারে, সেক্ষেত্রে এটা বাতের লক্ষণ হতে পারে।


কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. যদি আপনার এই রোগের লক্ষণ থাকে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত অস্থী সংযোগটিকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিন যাতে করে লক্ষণগুলো আরও খারাপ দিকে মোর নিতে না পারে।
২. যদি আপনাকে একইরকম কাজ পুন:পুন: করতে হয়, যেমন প্রচুর টাইপ করা, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শক্রমে একজন এরগোনোমিক (কর্মকর্তা, কর্মচারিদের কর্মদক্ষতা ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিদ্যায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি)-এর সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন কিরকম পরিবেশ এবং যন্ত্রপাতি হলে আপনার উপর থেকে কাজের চাপ কমে যাবে।
৩. কাজের শুরুতে এবং শেষে শরীরের প্রসারণের চর্চা করুন। যখন আপনাকে ক্রমাগত একই কাজ দিনের পর দিন করতে হবে তখন প্রতি ঘন্টায় কিংবা এরকম বিরতিতে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্যে বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন যাতে আপনার পেশিগুলো মজবুত থাকে এবং আপনার শরীরের তন্তুগুলোও শক্ত থাকে, সেটা আঘাত থেকে রক্ষা করবে।
৫. খেলাধুলা এবং ব্যায়ামের আগে নিজেকে হালকা শরীর চর্চার মধ্যে দিয়ে চাঙ্গা করে তুলুন।
৬. ব্যায়ামের সময় নমনীয় সোলের আরামদায়ক জুতো পড়ুন, এবং জুতোর যেন হিল না থাকে।
৭. সাতাড়ের মতো অল্প মাত্রার ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন, অর্থাৎ যেসব ব্যায়ামে কষ্ট কম সেগুলো করুন।

0 comments:

Post a Comment