About

.

ট্যাম্পেরোম্যান্ডিবিউলার ডিজঅর্ডার

লক্ষণ ও উপসর্গ
১. মাথার দুইপাশেই চর্বনের জন্যে যে পেশি ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ চোয়ালের পেশি এবং চোয়ালের সংযোগে ব্যথা হওয়া।
২. বার বার মাথা ব্যথা এবং কান ব্যথা হওয়া।
৩. মুখ খোলার এবং বন্ধ করার সময় চোয়ালের সংযোগে পট পট কিংবা খর খরে শব্দ শুনতে পাওয়া।
৪. মুখে, গলায় এবং কাঁধে ব্যথার বয়ে চলা।




কী করা উচিত
১. আপনার কপালের দুইপাশের (ট্যাম্পল) উপরে এবং নিচে ম্যাসেজ করুন, এবং আপনার চোয়াল বরাবরও ম্যাসেজ করুন। অল্প অল্প করে বৃত্তাকারে ম্যাসেজ করুন।
২. যদি ব্যথা খুবই তীব্র হয়, কিছুদিনের জন্যে চর্বন এবং কথা বলা কমিয়ে দিন। সাধারণ নরম খাবার বা পানীয় পান করে আপনার চোয়ালকে বিশ্রাম দিন।
৩. ওষধের দোকানে পাওয়া যায় এরকম (হট কিংবা কোল্ড প্যাক) গরম বা ঠাণ্ডা কোন ব্যাগ কিনে সেটা চোয়ালে চেপে ধরতে পারেন, কিংবা না পেলে বাড়িতেই পরিস্কার কাপর উত্তপ্ত বা ঠাণ্ডা করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরলে ব্যথা কিছুটা কম হবে। প্রতিবারে কয়েক মিনিটের জন্যে চেপে রাখুন।
৪. আপনার মুখ বন্ধ করবেন না আর করলেও দাঁতে দাঁতে কিরমির করবেন না।
৫. ইবুপ্রোফেনের মতো প্রদাহ-নিবারক কোন ওষুধ সেবন করতে পারেন।




কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি এই রোগ আপনার খাওয়া দাওয়া কিংবা কথা বলায় বিঘí ঘটায়|
২. যদি খাবার গুড়ো করার সময় কিংবা চেবানোর সময় আপনি অস্বস্তি বোধ করেন।




কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. দাঁতে দাঁত কিরমির করা কিংবা দাঁতের ঘর্ষণ করার বিষয়ে সাবধান থাকুন।
২. শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমাবার ব্যবþহা নিন। এই সমস্যা নিরসনে মানসিক এবং শারীরিক চাপ নিরসনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে শিথিল করাই হচ্ছে সবচে কার্যকর সমাধান।
৩. যদি আপনার প্রায়ই চোয়ালে ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে মাংসের কাবাব (বা স্টেক), এবং অন্যান্য শক্ত খাবার যেমন গাজর এবং পেয়ারা কিংবা আপেল ইত্যাদি বেশি খাওয়া এবং চেবানো থেকে বিরত থাকুন। পেনসিল এবং অন্যান্য এরকম বস্তুগুলো মুখে দিয়ে চেবাবেন না।
৪. চোয়ালের পেশি এবং হাড়ের উপর থেকে চাপ কমাবার লক্ষ্যে পেটের উপর ভর দিয়ে শোবেন না।

0 comments:

Post a Comment