About

.

অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি নিয়ে সমস্যা


আমরা কোনো কিছু না ভেবে শুধু দেখেই কাউকে মোটা বা চিকন বলে থাকি। আসলে কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নির্ণয় করে কাউকে রোগা বা মোটা বলা হয়ে থাকে। একজন লোকের ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়। এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।

আবার ভুঁড়ির ব্যাপারেও কিছু মাপের ব্যাপার আছে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের কোমরের মাপ ৯৪ সেন্টিমিটার বা ৩৮ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক, যদি তার উচ্চতা কম হয়। আর লম্বা পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ১০২ সেন্টিমিটার বা ৪০.২ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক।

মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। সুতরাং হুট করেই বিএমআই পরিমাপ বা কোমরের মাপ পরিমাপ না করে বলা যাবে না আপনি মোটা কিংবা আপনার ভুঁড়ি হয়েছে।

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে মানুষ মোটা হয় বা ভুঁড়ি হয়। ফ্যাট সেল বা চর্বিকোষ আয়তনে বাড়ে তখন শরীরে চর্বি জমে। পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য দেহে চর্বি জমে, আবার যে পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে বা দেহ যে পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছে সে পরিমাণ ক্ষয় বা ক্যালরি খরচ হচ্ছে না-এ কারণেও দেহে মেদ জমতে পারে। এগুলো শোনার বা জানার পর অনেকে হয়তো বলবেন, সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের পরও ওজন বেশি। তাদের অভিযোগ সঠিক। বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে। এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। ল্যাপটিন আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে দেহে জমে থাকা চর্বির পরিমাণ জানিয়ে দেয়। হাইপোথ্যালামাস নিউরোসেপটাইড ওয়াই নামে এক রকম উৎসেচকের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রকে উত্তেজিত বা নিস্তেজ করে আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। জিনগত ত্রুটির কারণে যদি ল্যাপটিন হরমোন কম থাকে, তাহলে ক্ষুধা বেড়ে যায়-এর ফলেও দেহে মেদ বৃদ্ধি পায়। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না।

এছাড়া থাইরয়েড হরমোন মেদ কম বা বৃদ্ধির সাথে জড়িত, থাইরয়েড হরমোন বৃদ্ধি পেলে রোগী প্রচুর খাবে কিন্তু ওজন বাড়বে না। আবার থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে ওজন বৃদ্ধি পায়।

মদ্যপান, অতিরিক্ত ঘুম, মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে।

বাড়তি ওজন কিংবা ভুঁড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা। বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া রক্তনালিতে চর্বি জমে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাড়তি ওজন রক্তচাপেরও কারণ।
ডায়াবেটিস টাইপ-২ দেখা দিতে পারে মেদ বৃদ্ধির জন্য। মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।

ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। হাঁটুর সন্ধিস্থল, কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত এবং গাউট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অতিরক্ত চর্বি থেকে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

অতি ওজন ও ভুঁড়ির জন্য যৌনক্ষমতা কমে যেতে পারে। পুরুষের শুক্রাণু কমে যেতে পারে এবং মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ির মূলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা। আবার দেখতেও যথেষ্ট দৃষ্টিকটু লাগে। কোনো পোশাকেই ভালো দেখায় না। বয়সের তুলনায় বয়স্ক দেখায়, অনেক সময় লোকজন বাজে মন্তব্য পর্যন্ত করে থাকে।

অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সঠিক খাদ্যগ্রহণ ও ব্যায়াম। কিন্তু দুটিই অত্যন্ত কষ্টের সাথে নিয়মিত করতে হবে। আজ নয়, কাল করব-এমন মনোভাব থাকলে চলবে না।

নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম। ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন, একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।

চর্বিজাতীয় খাবার যেমন-মাখন, তেল, গরু ও খাসির গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় কেউ যদি ওজন কমাতে চান তবে ডায়েটিশিয়ান ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। কেননা ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন এমনটিও কিন্তু হয়।

আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে। লাইপোসাকশন বা অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টির সাহায্যে আজকাল মেদ কমানো হচ্ছে।

মেদ ভুঁড়ি যেখানে এত সমস্যা, সেখানে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মেদ জমতে শুরু করার প্রারম্ভেই সতর্ক হয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ওজন নিলে ভালো। আবার হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ, তেমনটি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন। পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের মেদ-ভুঁড়ি থেকে রক্ষা করতে পারে। আরেকটি কথা, মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ-এ কথা মনে রাখবেন।
মূল লেখক ডা. ওয়ানাইজা

মেদ কমানোর সহজ উপায়


গাবদা-গোবদা মুখাবয়ব এবং মেদসর্বস্ব দেহ নিঃসন্দেহে কদাকার। ধুমসি দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না। তাই মেদ কমানোর জন্য নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন।


১. ডায়েট কন্ট্রোলঃ সৌন্দর্যচর্চার প্রাথমিক সোপান হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। ডায়েট কন্ট্রোল না করে স্থূলতা কমানোর অভিপ্রায় দুরাশা মাত্র। একজন স্থূল মেয়ে প্রতিদিন কতটা খাবার গ্রহণ করবে, তা নির্ভর করে তার বয়স, পেশা এবং দৈহিক কাঠামোর ওপর। প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়। প্রতিদিন কোনো কাজ না করে চুপচাপ বসে থাকলে একজন মানুষের ১৫০০ ক্যালরির মতো খাদ্য দরকার। তাই স্থূলদেহের মেয়েরা যদি প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১২০০ ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করে তবে দেহের ওজন কমানো যায়। ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়। আমিষজাতীয় খাবার খুব তাড়াতাড়ি মানুষের রসনা নিবৃত্তি করে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন স্থূল দেহের মেয়ের খাদ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার থাকা উচিত। শর্করাজাতীয় খাবার যেমন-ভাত, রুটি, গম, ভুট্টা ইত্যাদির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। ১০০০ ক্যালরি খাবারের জন্য ১০০ গ্রাম শর্করাজাতীয় খাবারই যথেষ্ট। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করে, তাদের খাবারে থাকবে প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল।


ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার যেমন পুঁইশাক, পালংশাক, সবুজ এগুলোতে ক্যালরির মান খুব কম, কিন্তু তা উদরপূর্তিতে সহায়ক। খাদ্যে ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজদ্রব্যের উপস্থিতি থাকবে স্বাভাবিক। মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে। তাই সবাইকে মনে রাখতে হবে, যাতে খাদ্যদ্রব্যে শর্করা এবং স্নেহজাতীয় খাবারের আধিক্য না ঘটে। খাদ্য কখনো মানুষের শত্রু হতে পারে না কিন্তু তাকে ব্যবহার করতে হবে। বেশি খাওয়া, কম পরিশ্রম করা অনুচিত। যারা বেশি খাবে, তারা বেশি পরিশ্রম করবে-এটাই নিয়ম। নইলে মেদ বৃদ্ধি অনিবার্য। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ১০০০ ক্যালরির চার্ট দেখে নিজের খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করে নেয়া যায়। যদি ১০০০ ক্যালরি খাদ্য নিয়ন্ত্রণে ভালো ফল না পাওয়া যায়, তবে মাত্র ৪০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করেও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে শুরুতে ৪০০ ক্যালরি শুরু না করাই ভালো। ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য বিভিন্ন তত্ত্ব আবিষকৃত হয়েছে। কিন্তু কোনটি সবচেয়ে ফলপ্রদ, তা আজো অনাবিষকৃত। ১৮৬৩ সালে ডা. উইলিয়াম হার্ভে সর্বপ্রথম ডায়েটিং তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। তবে তার এই তত্ত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ডা. স্টিল ম্যান ‘কুইকি’ নামে একটি ডায়েট কন্ট্রোলের পদ্ধতি বের করেন। তার মতে, স্বাভাবিক প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাদ্য কিন্তু সুষম নয় এ ধরনের খাবার অনেক তাড়াতাড়ি চর্বি জমায়। কিন্তু এ কুইকি পদ্ধতি বেশিদিন চলেনি। কারণ শরীরে শক্তির বিরাট অংশ জোগান দেয় গ্লুকোজ, যা সরাসরি কার্বোহাইড্রেড থেকে আসে। হঠাৎ করে খাদ্যে কার্বোহাইড্রেডের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা দেহের জন্য ক্ষতিকর।


১৯৮১ সালে জুডি ম্যাজেলের বিভারলি হিলস ডায়েট আমেরিকায় খুব জনপ্রিয় ছিল। এই পদ্ধতিতে প্রথম ১০ দিন শুধু ফল, ১১ দিন মাখন এবং ভুট্টা। এর পরের ১০ দিন শুধু মাছ বা মাংস খেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বলা হয়েছে বেভারলি হিলস ডায়েট দেহের জন্য ক্ষতিকারক। ইদানীং নাথন প্রিটিকেনের ‘প্রিটিকিন রিগ্রেশন ডায়েট’ স্থূলতা কমাতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেড, কোলেস্টেরল এবং চিনির পরিমাণ অত্যন্ত কম। ১০০০ ক্যালরির এই ডায়েটে যে শুধু মেদ কমানো যায় তাই নয়, এ দিয়ে উচ্চরক্তচাপ, বহুমূত্র পিত্তথলির রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।

মুল লেখক ডা. বরেন চক্রবর্তী

ফ্যাট কমানোর ৮ উপায়



শহুরে জীবনে স্থূলতা ক্রমে প্রকট সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের দেহ যে পরিমাণ ক্যালরি পোড়ায় এর চেয়ে বেশি ক্যালরি খরচের আর কোনো উপায় আছে কি? হ্যাঁ এবং না-এক্সপার্টদের মন্তব্য। দৃশ্যত খাঁটি বিষয়টি হলো বাড়তি ক্যালরি পোড়ানোর এক নাম্বার (এবং আদি ও অকৃত্রিম) উপায় হলো আরো বেশি করে কাজ, হাঁটাচলা করা।

ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনায় ইন্টারডিসিপ্লিনারি ওবেসিটি প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ব্যারি এম পপকিন বলেন, আমরা দেখেছি বেশি বেশি নড়াচড়া ছাড়া ক্যালরি খরচ বা বিপাক ক্রিয়া বাড়ানোর কোনো রাস্তা নেই।

যদিও গবেষণায় দেখা যায়, দেহের ক্যালরি খরচের মাত্রা বেড়ে যায় এমন কিছু উপায় আছে। এখানে তেমনি কয়েকটি উপায় দেয়া হলো যেগুলো ব্যবহার করে ক্যালরি পুড়িয়ে স্থূলতার বিরুদ্ধে আপনার যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারেন।

এক্সারসাইজের মাধ্যমে ক্যালরি পোড়ানো
এটা খুব সাধারণ ধারণা, যত বেশি এক্সারসাইজ করবেন ক্যালরি খরচ হবে তত বেশি। বস্তুত এক্সপার্টদের মতে, প্রতিদিন সময় নিয়ে হাঁটলে সেটাও ক্যালরি পোড়ানোর একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। আর এক্সারসাইজের ব্যাপারে কথা হলো, ধীরে ধীরে এর সময় বাড়াতে হবে।

শক্তি বাড়ানোর এক্সারসাইজ করে পেশি তৈরি করুন
আপনি যখন এক্সারসাইজ করেন তখন পেশির ব্যবহার হয়। এর ফলে পেশির দৃঢ়তা বাড়ে। আর এমনকি যদি আপনি বিশ্রাম নেন তখনো পেশির কোষগুলো যতটা ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে দেহের চর্বি ততটা পারে না। বিশ্রামে থাকা অবস্থায় ১০ পাউন্ডের পেশি ৫০ ক্যালরি খরচ করে, যেখানে সমপরিমাণ ফ্যাট মাত্র ২০ ক্যালরি খরচ করে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের শক্তি বাড়ানোর বিভিন্ন এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ এ সময় মানুষের বিপাক ক্রিয়া গতি হারায়। এ অবস্থাকে প্রতিহত করতে সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার শক্তি বাড়ানোর এক্সারসাইজ করুন। থাই, তলপেট, বুক ও বাহুর পেশিগুলো দেহের সবচেয়ে বড় পেশি, এ কারণে এগুলো বেশি ক্যালরি পোড়াতে পারে।

ক্যাফেইনসমৃদ্ধ গ্রিন বা ব্ল্যাক টি পান করুন
ক্যাফেইন এক ধরনের উদ্দীপক আর উদ্দীপনা দেহে বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। এটা আপনার দেহে কর্ম উদ্দীপনা তৈরি করে আর তার ফলে আপনি বাড়তি নড়াচড়া করেন। এছাড়া ক্যাফেইন দেহের বিপাকীয় পরিবর্তন ঘটায়, যা আপনার বাড়তি ক্যালরি ধ্বংস করে।

খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়। চায়ের নির্যাস খাবার সময় দেহের কার্বোহাইড্রেড গ্রহণকে প্রতিহত করে-এমনটাই জানা গেছে সেপ্টেম্বর ২০০৬-এ প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন থেকে।

অল্প খান, ঘন ঘন খান
দিনে যে কয়বারই আপনি খাবার খান আপনার গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল প্রক্রিয়া চালু হয়। বস্তুত এটা হলো খাবার হজম হওয়া এবং এর পুষ্টি দেহে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। মানুষের হজম মেশিনটি চালু হতে ক্যালরি খরচ হয় আর এ জন্যই আপনাকে বলা হচ্ছে প্রতিবার অল্প করে দিনে বেশ কয়েকবার খাওয়া-দাওয়া করুন। এতে বাড়তি কিছু ক্যালরি খরচ করতে পারবেন আপনি নিঃসন্দেহে।

সকালের নাশতা এড়াবেন না
ব্রেকফাস্ট সময়মতো করতে হবে। আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের একটি জার্নালে সম্প্রতি বলা হয়েছে, দেহের ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে ব্রেকফাস্ট এড়ানোর সম্পর্ক আছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে, যারা সকালের নাশতা করেন না, দিনে অতিরিক্ত খেয়ে তারা দেহে বাড়তি ক্যালরি যোগ করেন। তাছাড়া কেবল স্থূলতা এড়াতেই নয়, আদর্শ লাইফস্টাইলের জন্যও এ অভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।

অল্প ফ্যাটসমৃদ্ধ ডেয়ারি প্রোডাক্ট খান
স্বল্প ননিযুক্ত খাবারে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে তা ক্যালরি খরচে ভূমিকা না রাখলেও এর মাধ্যমে দেহে চর্বি জমতে পারে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যালসিয়ামে ভরপুর লো-ফ্যাটসমৃদ্ধ ডেয়ারি প্রোডাক্টের সঙ্গে পেটের চর্বির একটা যোগাযোগ আছে।

দিনে দুই লিটার পানি পান করুন
সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। জার্মানির এক ছোট গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে, জানালেন পোপ।

ভাবছেন, মাত্র ১০০ ক্যালরি? কিন্তু এ অভ্যাস গড়ে উঠলে সপ্তাহে ৭০০ এবং মাসে আপনার ২,৮০০ ক্যালরি পুড়বে। পাশাপাশি এটা আপনার হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলবে এবং কিডনিও ভালো রাখবে। বাড়তি লাভ আরো আছে অনেক সময় তেষ্টা পাওয়াকে আমরা ক্ষুধার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। পানি পর্যাপ্ত খেলে এ বিভ্রান্তি ঘটার সম্ভাবনাও কমে যাবে।

এলোমেলোভাবে নড়াচড়া করুন
যে কোনো ধরনের দৈহিক নড়াচড়ার জন্যই এনার্জি দরকার। আর এলোমেলোভাবে হাঁটাটাও নিশ্চয়ই নড়াচড়ার মধ্যে পড়ে। ইংরেজিতে একে বলে ফিজেটিং। স্পেশালিস্টের বক্তব্য-পুরনো গবেষণায় দেখা গেছে, বাড়তি ক্যালরি খরচ হতে পারে ফিজেটিংয়ের মাধ্যমে। আরেক গবেষণায় দেখা যায়, নিয়ম করে নড়াচড়ার চেয়ে এলোমেলো নড়াচড়ার মাধ্যমেই নির্ধারিত হয় কে শুকনো আর কে মোটা।

মূল লেখক আবদুল্লাহ উমর

যোনীর সমস্যা

লক্ষণ ও উপসর্গ
ইস্ট ইনফেকশান বা ছত্রাকের সংক্রমন:
১. আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ওঠা এবং চুলকানো|
২. পস্রাব করার সময়ে জ্বালা পোড়া হওয়া (মাঝে মধ্যে)।
৩. যৌন মিলনের সময় ব্যথা হওয়া|
৪. গন্ধহীন পিচ্ছিল চিজের মতো সাদা রঙ্গের পদার্থ নিসৃত হওয়া (মাঝে মধ্যে)|
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
১. যোনী দিয়ে মাছের মতো আঁশটে গন্ধের পানির মতো ধূসর, সাদা কিংবা হলদেটে পদার্থের নির্গমন।
২. মৃদু জ্বালাপোড়া হওয়া কিংবা চুলকানি হওয়া।
স্পর্শ জনিত ত্বকের প্রদাহ বা কন্টাক্ট ডারমাটিটিজ:
১. ভলভার রঙ লাল হয়ে ওঠা এবং চুলকানির অনুভব হওয়া (যৌনাঙ্গের চারপাশের অংশে)

কী করা উচিত

ইস্ট ইনফেকশান বা ছত্রাকের সংক্রমন:
১. যোনীদ্বার শুষ্ক রাখুন, বিশেষত পস্রাব করার পর এবং স্নানের পর|
২. ছত্রাক বাহিত রোগের ক্ষেত্রে ডিসপেন্সারি থেকে কোন ছত্রাক নিরোধোক সাপোজিটরি ক্রিম কিনে ব্যবহার করুন, তবে লক্ষ্য রাখবেন ক্রিমটিতে যেন মাইকোনজল কিংবা ক্লটরিমাজল নামক উপাদান থাকে।
৩. যদি পস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় সেক্ষেত্রে একটা প্লাস্টিকের কাপের তলি কেটে সেটা যোনির উপর চেপে ধরে পস্রাব করতে পারেন, এতে করে পস্রাবের সময় সংবেদনশীল ত্বকে চাপ পড়ে এবং উপকার পাওয়া যায়, কিংবা একটা স্কোয়ার্ট বোতল (যে বতোল দিয়ে স্প্রে করা যায়)-এ উষä জল নিয়ে সেটা দিয়ে পস্রাবের সময় ভলভা বা যোনীদ্বারের উপর স্প্রে করতে পারেন।
৪. এই সমস্যা যাতে আবার না হয় সে জন্যে ওষুধগুলো ঠিকমতো সেবন করুন যতদিন না সমস্যা পুরোপুরি সেরে যায়, এমনকি সেরে যাবার পরও কিছুদিন ওষুধ সেবন করুন।
স্পর্শ জনিত ত্বকের প্রদাহ বা কন্টাক্ট ডারমাটিটিজ:
১. আক্রান্ত ত্বকে বা চুলকানি যেখানে হবে সেখানে ঠাণ্ডা তুলোর পিণ্ড বা কাপড় চেপে ধরে রাখুন কিংবা হাইড্রোকরটিসান নামক ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
২. আপনার আন্ডারওয়্যার ডিটারজেন্ট দিয়ে ধূয়ে ফেলার পর আবার সেটা পরিস্কার পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলুন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি ঋতুস্রাবের সময়ের মধ্যবর্তী সময়টাতেও আপনার পস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয় কিংবা মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তির পরও যদি রক্ত বের হয়; যদি যোনীর ভেতরে কিংবা যোনীদ্বারের উপর শক্ত গোটা হয়, কিংবা যোনীতে ক্রমাগত ব্যথা থাকে বা চুলকানি হয়। সেক্ষেত্রে এগুলো যোনীর কিংবা ভলভা বা যোনীদ্বারের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
২. যদি আপনার যোনী দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত হলদে কিংবা সবুজাভ পদার্থ বের হয়। এটা হয়তো যৌন সংসর্গের দরুন সংক্রামিত কোন রোগের লক্ষণ।
৩. যদি আপনি ব্যাকটেরিয়াল ভেজিনোসিস-এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ডাক্তার হয়তো আপনাকে মুখে সেবনযোগ্য কোন এন্টিবায়োটিক দিতে পারে।
৪. যদি প্রথমবারের জন্যে আপনি এই লক্ষণগুলো দেখে থাকেন কিংবা যদি বছরে দুই বারের বেশি এই সমস্যায় আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
৫. যদি লক্ষণগুলো ঘরোয়া চিকিৎসা, বা ডাক্তারি পরামর্শতেও না সারে, কিংবা যদি লক্ষণগুলো অত্যন্ত তীব্র হয়।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. মলদ্বার থেকে যেন যোনীতে কোন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে মধ্যবর্তী অংশটুকু ভালোভাবে পরিস্কার করবেন।
২. সুগন্ধ যুক্ত টয়লেট পেপার, কিংবা সাবান, কিংবা মহিলাদের স্বাþহ রক্ষার স্প্রে (ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে), ডুশ, কিংবা ট্যাম্পুন ব্যবহার করবেন না।
৩. প্রতিবার ব্যবহারের পর ডায়াফরাম, সারভিকাল ক্যাপ এবং স্পার্মিসাইডাল এ্যাপ্লিকেটর ভালোভাবে পরিস্কার করবেন।
৪. টাইট প্যান্ট, প্যান্টি কিংবা প্যান্টিহোজ কিংবা অন্যান্য পোশাক আশাক যেগুলোর ভেতরে আদ্রতা জমা হয়ে থাকতে পারে সেগুলো পরিধান করবেন না|
৫. যদি আপনি কোন এন্টিবায়োটিক সেবন করেন সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন ইস্ট ইনফেকশন থেকে রেহাই পাবার জন্যে ছত্রাক নিরোধোক বা এন্টাইফাঙ্গাল ক্রিম যোনীদ্বার বা ভলভায় ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
৬. প্রতি মাসে নিজের যোনীদ্বার পরীক্ষা করে দেখুন যোনীদ্বারের ত্বকে কোন পরিবর্তন আছে কি না।
৭. প্রতি বছর অন্তত একবার পেলভিক এবং প্যাপ স্মিয়ার- পরীক্ষা বা টেস্টগুলো করে দেখুন।
৮. যদি আপনার যৌনাঙ্গে আঁচিলের মতো কোন গোটা থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসে একবার প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করুন - ডাক্তার যদি বলে থাকে যে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা রয়েছে, কিংবা যদি আপনার মা ডিইথাইলস্টিলবেস্ট্রল বা ডিইএস নামক মাদক গ্রহণ করে থাকে, যদি আপনি হিসটারেকটমি কিংবা রেডিয়েশন থেরাপি, কিংবা যদি একজনের বেশি সঙ্গির সাথে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন সেক্ষেত্রে যৌন সংসর্গে সংক্রামিত রোগ এবং যোনীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অন্যান্যদের তুলনায় আপনার ঝুঁকি বেশি।

টক্সিক শক সিন্ড্রম

লক্ষণ ও উপসর্গ
জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার সরণাপন্ন হোন যদি:
১. হঠাৎ করে আপনার গায়ে অনেক বেশি জ্বর আসে (১০২ ডিগ্রীর থেকেও বেশি)।
২. মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, কিংবা বিভ্রান্তি|
৩ দুর্বলতা কিংবা জ্ঞান হারাবার মতো হওয়া|
৪. একেবারে তরল পাতলা পায়খানা|
৫. বমি|
৬. র‌্যাশ বা গোটা ওঠা, প্রায়ই হাতের তালুতে, হাতে কিংবা পায়ের পাতায় গোটা ওঠা।

কী করা উচিত

১. যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে দেখা যায় এবং আপনি যদি ট্যাম্পুন (ঋতুকালে ব্যবহৃত শোষক পদার্থ যেমন তুলা বা পট্টি), জন্ম-নিয়ন্ত্রণের স্পঞ্জ, কিংবা ঋতুস্রাবের স্পঞ্জ, কিংবা ডায়াফরাম, কিংবা সারভিকাল ক্যাপ থাকে সেক্ষেত্রে সেগুলো অনতিবিলম্বে অপসারণ করুন বা খুলে ফেলুন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

১. যদি আপনার মধ্যে টক্সিক শক সিন্ড্রমের লক্ষণগুলো দেখা যায়, বিশেষত যদি আপনি ঋতু স্রাবের মধ্যে থাকেন এবং ট্যাম্প মলম ব্যবহার করে থাকেন:
জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন যদি:
২. যদি আপনি টক্সিক শক সিন্ড্রম সংক্রান্ত পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যেই করে থাকেন এবং তারপর অন্যান্য নতুন লক্ষণ দেখা যায়। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এরকম হতে পারে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

১. যদি আপনি ডায়াফরাম কিংবা সারভিকাল ক্যাপ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহারের নির্দেশিকায় উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আবার অপসারণ করবেন। ডায়াফরাম কখনই ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ব্যবহার করবেন না, আর সারভিকাল ক্যাপ কখনই ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় ব্যবহার করবেন না।
২. ট্যাম্পুন কিংবা অন্যান্য কিছু যৌনাঙ্গে প্রবেশের আগে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নিন|
৩. ট্যাম্পুন ব্যবহারের পরিমাণ যতো কম করবেন ততই ভালো। যদি আপনি সেটা ব্যবহার বন্ধ করতে না চান সেক্ষেত্রে তুলার তৈরি ট্যাম্পুন ব্যবহার করুন, কেননা এতে ঝুঁকির পরিমান সবচে কম, এবং চাইলে স্যানিটারি প্যাড বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে কখনও যদি আপনার টক্সিক শক সিন্ড্রম হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ট্যাম্পুন ব্যবহার পুরোপুরি ছেড়ে দিন।
৪. বেশি শোষণক্ষম বা সুপার এ্যাবজরবেন্ট ট্যাম্পুন ব্যবহার করবেন না। যে ট্যাম্পুনগুলো কম শোষণক্ষম সেগুলো ব্যবহার করুন, এতে করে আপনার ঋতুস্রাবের ধারা ঠিক থাকবে।
৫. দিনের মধ্যে প্রায়ই ট্যম্পুন বদলে নিন - অন্তত প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর এটা বদলে ফেলুন।
৬. রাতের বেলায় ট্যাম্পুন কিংবা ঋতুস্রাবের স্পঞ্জ ব্যবহার পরিত্যাগ করুন।
৭. আপনার দেহে কোথাও কোন কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত থাকলে সেটা সাথে সাথেই পরিস্কার করুন এবং সংক্রামক রোধক এন্টিস্যাপটিক ব্যবহার করুন। যদি কোন ক্ষত সংক্রামিত হয়েছে বলে আপনার সন্দেহ হয় সেক্ষেত্রে মেডিকেলের শরণাপন্ন হোন।
Signs and Symptoms

Go to an emergency facility immediately if you have:
1. Sudden, high fever (higher than 102 degrees).
2. Headache, dizziness, or confusion.
3. Weakness or fainting.
4. Watery diarrhea.
5. Vomiting.
6. A rash often on the palms of the hands or the soles of the feet.

What to do now
1. If you have symptoms and you have a tampon, a contraceptive sponge or menstrual sponge, or a diaphragm, or a cervical cap inside you, remove it immediately.
When to call a doctor
1. If you have symptoms of toxic shock syndrome-especially if you are menstruating and have been using tamp ointment:
2. If you have already been diagnose with toxic shock syndrome and you develop new symptoms. Drugs used to treat the illness may produce side effects.

How to prevent it
1. If you use a diaphragm or cervical cap, remember to remove it within the time recommended in the directions. Never leave a diaphragm in for more than 24 hours. or a cervical cap in for more than 48 hours.
2. Wash your hands thoroughly before you insert a tampon or any other device.
3. Minimize your use of tampons. If you don’t want to stop using them, wear tampons made of cotton, which pose the least risk, and alternate tampons with sanitary pads. If you’ve ever had toxic shock syndrome, avoid using tampons altogether.
4. Don’t use super-absorbent tampons. Use the least absorbent tampon that will control your menstrual flow.
5. Change tampons frequently during the day- at least every four to six hours.
6. Avoid using tampons or menstrual sponges overnight.
7. Always clean and disinfect cuts or scrapes anywhere on your body. If a wound appears to be infected, get medical help.

ঋতুস্রাব শুরু হবার পূর্ববর্তী লক্ষণ

লক্ষণ ও উপসর্গ
১. স্তনের ফুলে ওঠা এবং স্পর্শকাতরতা স্পর্শে ব্যথা লাগা|
২. মাথা ব্যথা|
৩. মাথা ঘোরা|
৪. অবসাদ|
৫. যৌন মিলনের আকাঙ্খায় হন্সাস কিংবা বৃদ্ধি|
৬. খাবারের প্রতি তীব্র আগ্রহ|
৭. গ্যাস হওয়া বা ঢেকুর তোলা এবং ওজন বৃদ্ধি|
৮. একনি হওয়া|
৯. মেজাজের পরিবর্তন, বিরক্তিভাব বেড়ে যাওয়া, অþিহরতা এবং বিষাদগ্রস্ততা|
১০. ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিণ্য|

 কি করা উচিত
১. লবন, চিনি, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি, এবং দুধ দিয়ে তৈরি খাবার ইত্যাদি ঋতুস্রাব হবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই বর্জন করে চলুন।
২. আপনার যদি মদ পানের অভ্যাস থাকে সেক্ষেত্রে ঋতুস্রাব হবার এক সপ্তাহ আগে থেকে সেটা বর্জন করুন। মদ পানের দরুন আপনার মাথা ব্যথা, অবসাদ এবং বিষাদগ্রস্ততার তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।
৩. অল্প অল্প করে একটু পর পর আহার করুন যাতে করে শরীরে রক্তের সাথে চিনির পরিমাণের খুব বেশি ঘাটতি না হয় এবং হঠাৎ করে শরীরে শক্তির হন্সাস না হয়।
৪. ঋতুস্রাব হবার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন বেশি করে ঘুমান এবং নিজেকে আরাম দেবার জন্যে বেশি সময় নিয়ে স্নানও করতে পারেন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি উপরোক্ত পরামর্শগুলো পালন করার পরও লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যকলাপ এবং সম্পর্কগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে থাকে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
যদিও পিএমএস এর লক্ষণগুলোর প্রতিরোধ করার মতো তেমন কোন বিশেষ ব্যবস্থা নেই, তবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চললে এই লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দিন কাজ কর্মে বাধার সৃষ্টি করতে পারবে না:
১. যেসব খাবারের মধ্যে জটিল শর্করা রয়েছে যেমন (আলু, রুটি কিংবা পাসটা ইত্যাদি)।
২. আপনার উপর মানসিক কিংবা শারীরিক চাপ থাকলে নিজেকে চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। যোগ ব্যায়াম কিংবা ধ্যান চর্চা করতে পারেন।
৩. প্রতিদিন শরীর চর্চা করুন।
৪. যদি আপনার ধুমপানের অভ্যাস থাকে, পরিত্যাগ করুন।
Signs and Symptoms

1. Breast swelling or tenderness.

2. Headaches.

3. Dizziness.

4. Fatigue.

5. Decrease or increase in sex drive.

6. Food cravings.

7. Bloating and weight gain.

8. Outbreaks of acne.

9. Mood swings, increased irritability, nervousness, or depression.

10. Diarrhea or constipation.



What to do now

1. Avoid salt, sugar, caffeine, and diary products the week before your period.

2. Avoid alcohol the week before your period. It can worsen headaches, fatigue, and depression.

3. Eat smaller, more frequent meals to help maintain a steady level of blood sugar and to avoid big drops in energy.

4. Get some sleep the week before your period; take long, warm baths to relax.



When to call a doctor

1. If you’ve followed the advice above, but your symptoms still interfere with your normal activities or relationships.



How to prevent it

Although there are no specific ways to prevent PMS, following these guidelines can help prevent the symptoms from interfering with your life:

1. Eat meals that include lots of complex carbohydrates (potatoes, bread).

2. Try to reduce stress. Learn to practice yoga or meditation.

3. Exercise daily.

4. If you smoke, quit.

Pelvic Inflammatory Disease শ্রোণী সংক্রান্ত প্রদাহ বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ

 লক্ষণ ও উপসর্গ  
১. প্রায়ই এই রোগের কোন লক্ষণ থাকে না|
তবে মাঝে মধ্যে এই রোগের ফলে:
১. যৌন মিলনের সময় ব্যথা হওয়া|
২. উদর বা তলপেটের নিচে মৃদু কিংবা তীব্র ব্যথা, কখনও কখনও পিঠে ব্যথাও একই সাথে জেগে ওঠে।
৩. অনিয়মিত ঋতুস্রাব কিংবা ঋতুস্রাব কোন একটা নির্দিষ্ট সময়ে না হওয়া, কিংবা ঋতুস্রাব হলে প্রচুর রক্তপাত হওয়া।
৪. যোনি থেকে ভারী কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থের নি:স্বরণ|
৫. বার বার পস্রাব হওয়া এবং পস্রাবে জ্বালা পোড়া করা।
৬. জ্বর, কখনও কখনও কাপুনি দিয়ে জ্বর আসা।
৭. বিতৃষন্নাবোধ এবং বমি হওয়া

 কি করা উচিত
১. প্রথমে আপনার সমস্যা সংক্রান্ত পরীক্ষাগুলো করে নিন এবং
২. যে যে ওষুধ আপনাকে সেবন করতে বলা হবে সবগুলো যতদিন ধরে সেবন করা প্রয়োজন করুন, তাতে আপনার সমস্যা আগেই দূর হয়ে গেলেও ওষুধ সেবন করা ছাড়বেন না।
৩. সবগুলো লক্ষণ সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত যৌন মিলন করবেন না।
৪. যথেষ্ট পরিমাণে শুয়ে বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
৫. যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ব্যাথা কমাবার জন্যে ইবুপ্রোফেন সেবন করতে পারেন।
৬. যদি গনোরিয়া কিংবা ক্লামায়ডিয়ার কারণে আপনি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন যাতে আপনার জীবনসঙ্গিরও চিকিৎসা হয়। অন্যথায়, সে হয়তো আপনাকে বা অন্যান্যদের আবার এই রোগে আক্রান্ত করবে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার পিআইডি এর লক্ষণগুলো থাকে|

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. ধর্মীয় আচার মেনে চলুন ।
২. নিয়মিত মেডিকাল চেকআপ করুন|
৬. সংক্রামক ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে কোন সার্জারি কিংবা গাইনেকোলোজিকাল চিকিৎসার পর অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে ডুশ নেবেন না কিংবা যৌন মিলন করবেন না।
Signs and Symptoms
1. Often the infection has no symptoms.
Sometimes it can cause:
1. Pain during intercourse.
2. Mild to severe aching in the lower abdomen, sometimes accompanied by backache.
3. Absent or irregular menstrual periods, or unusually heavy bleeding.
4. Heavy or foul-smelling discharge from the vagina.
5. Frequent urination accompanied by burning pain.
6. Fever, sometimes with chills.
7. Nausea and vomiting.

What to do now
1. Diagnose the problem and then
2. Take all of your medication, even if symptoms have disappeared.
3. Don’t have sex until all symptoms have disappeared.
4. Get plenty of bed rest.
5. If needed, take an over-the-counter pain reliever such as ibuprofen.
6. If gonorrhea or Chlamydia caused your infection, make sure your partner is treated. Otherwise, he may reinfect you or infect others.

When to call a doctor
1. If you have symptoms of PID.

How to prevent it
1. Practice safe sex .
2. Have regular medical checkups.
3. To prevent infection after surgery or minor gynecological procedures, don’t douche or have intercourse for a week.

Menopause মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তি

 লক্ষণ ও উপসর্গ
১. শরীর হঠাৎ করে গরম হয়ে ওঠার অনুভব, বিশেষত মুখে, গলায় কিংবা বুকে এই অনুভূতি জেগে ওঠে। সেই সাথে তীব্র ঘাম এবং রাত্রিকালিন ঘামেরও লক্ষণ দেখা দিতে পারে, এবং এটা রাতের ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
২. অনিয়মিত ঋতুস্রাব। ঋতুস্রাব খুব বেশি হওয়া থেকে খুব কমও হতে পারে এবং কিছু দিন পর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
৩. অল্পতেই বিরক্তি, মেজাজের পরিবর্তন এবং কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে অসমর্থতা।
৪. যোনীর শুষ্কতা।
৫. যৌন মিলনের সময় যৌনাঙ্গে ব্যাথা হওয়া।

কী করা উচিত
১. যদি আপনার যোনি শুষ্ক হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে লুব্রিকেন্ট (তৈলাক্ত পদার্থ) ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার জীবন সঙ্গি যদি কন্ডম ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে পানিতে দ্রবীভূত হয় এরকম লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করবেন, পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন না।
২. যদি রাতে আপনার ঘাম হয় কিংবা তীব্র গরম অনুভূত হয় এবং ঘামাতে থাকেন সেক্ষেত্রে ঘাম শোষণ করে নিতে সক্ষম এরকম সূতির কাপড় পরিধান করে শুবেন।
৩. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, এবং নিজেকে ঠাণ্ডা রাখুন।
৪. আপনি যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সেই পরিবর্তনের বিষয়ে আপনার বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করুন।
৫. জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বন্ধ করবেন না, এমনকি যখন আপনার ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে উঠবে এবং ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাবার এক দুবছরের মধ্যেও পদ্ধতি গ্রহণে হেলা ফেলা করবেন না, কেননা এই সময়েও গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকেই যায়। যদি আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খান, সেক্ষেত্রে এটা আপনার ঋতুস্রাব বন্ধ হবার পরও চালিয়ে যেতে হবে। তবে আপনার বয়স যদি ৫০ বা এর বেশি হয় এবং আপনি জন্ম-নিয়ন্ত্রণের বড়ি খান, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে একটা বিশেষ রক্ত পরীক্ষা (নাম এফএসএইচ টেস্ট) করে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি নেয়া বন্ধ করতে পারবেন কি না।
৬. শারীরিক এবং মানসিক চাপ যাতে কম হয় সেই চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, সুষম খাদ্য খান, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার বর্জন করুন, এবং রাত্রি কালিন ঘামের কারণে যদি আপনার ঘুমের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে দিনে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৭. আপনার শরীরের তুলনায় ওজন যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে হার্টের রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকে বাঁচার লক্ষ্যে ওজন কমাবার চেষ্টা করুন, সেক্ষেত্রে কম স্নেহযুক্ত খাবার খান।
৮. ধুমপান ত্যাগ করুন।
৯. প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে (ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট) এরকম ওষুধ সেবন করুন এবং যেসব ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ওজন বহন করতে হয় সেরকম ব্যায়াম চর্চা করুন যেমন হাটা হাটি, কিংবা হালকা ওজন উত্তোলন করা যাতে অস্টেওপরোসিস নামক রোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ ঋতুস্রাবের সময় প্রচুর রক্তপাতের শিকার হয়ে থাকেন, কিংবা ঋতুস্রাব বন্ধ হবার এক বছর পর যেকোন ধরনের রক্তপাতের শিকার হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে এটা জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে।
২. যদি আপনার এমন কোন লক্ষণ থাকে যেগুলোর কারণে আপনার ঘুমের কিংবা দৈনন্দিন কাজ কর্মে ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়।
Signs and Symptoms
1. A sudden sensation of heating up, usually on the face, neck or chest. It may include profuse sweating and night sweats that disrupt sleep.
2. Irregular periods. Menstrual flow may be very heavy or very light and eventually, periods cease.
3. Irritability, mood swings and difficulty concentrating.
4. Vaginal dryness.
5. Pain during intercourse.

What to do now
1. For vaginal dryness use a lubricant. If you and your partner use condoms, use a water-soluble lubricant, not petroleum jelly.
2. Wear absorbent cotton clothes if you are having night sweats or hot flashes.
3. Drink plenty of water, and keep yourself cool.
4. Talk to your family and friends about the changes you are going through.
5. Keep using birth control even when periods become irregular and for a year or two after they cease, cause even at this period there is risk of pregnancy. If you are on birth control pills, you may continue to have periods even after menopause. If you are near 50 and taking the Pill, ask your doctor about a blood check called an FSH test, that can determine whether it’s safe to stop.
6. Try to reduce stress. Exercise regularly, eat balanced meals, avoid caffeine, and take naps during the day if night sweats are interrupting your sleep.
7. Reduce your risk of heart disease by making efforts to lose weight if you are over weight by switching to a low fat diet.
8. Quit smoking.
9. Take calcium supplements daily and do weight bearing exercise (such as walking, or lifting light weights to guard against osteoporosis.

When to Call a Doctor
1. If you experience long-term heavy bleeding, or any bleeding one year after your period stops. This could be a sign of uterine cancer.
2. If you have any symptoms that seriously disrupt your sleep, work or daily activities

পস্রাব নির্গমন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপারগতা

 লক্ষণ ও উপসর্গ 
১. কেশে ওঠার সময়, কিংবা শরীর চর্চা করার সময়, হাসবার সময় কিংবা কোনভাবে মূত্রথলিতে চাপ পড়লেই সামাণ্য পরিমাণে পস্রাব নির্গত হয়ে যাওয়া|
২. পস্রাবের তাগিদ নিয়ন্ত্রনে অপারগতা|
৩. নিজের অজান্তেই পস্রাব হয়ে যাওয়া|
কী করা উচিত
১. যদি আপনার মনে হয় যে একটা কাশি বা হাচি আসছে সেক্ষেত্রে এক পা অন্য পায়ের উপর উঠিয়ে দিয়ে বসুন। যে গবেষকেরা এই পদ্ধতিটি নিরীক্ষা করে দেখেছেন তাদের মতে এটা নিরাপদ, অনিয়ন্ত্রিত পস্রাবের বেগ বা পস্রাবের নির্গমন রোধে এই পদ্ধতি কার্যকর।
২. কখন কখন অপ্রত্যাশিতভাবে পস্রাব নির্গমন হয় সেটা টুকে রাখুন। কতক্ষণ ধরে পস্রাব নির্গমন হয় এবং সে সময় আপনি কি করছিলেন সেটাও লিখে রাখুন। এই তথ্যগুলো পেলে ডাক্তার আপনার সমস্যার ধরন বা ধরনসমূহগুলোকে আরও ভালোভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে এবং আপনার জন্যে উপযুক্ত এবং কার্যকর চিকিৎসার ব্যবþহা করতেও সক্ষম হবে।
৩. ডিজপোজেবল (ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া যায়), তরল শোষণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন নিম্নাঙ্গের পরিধেয় পরিধান করুন। আপনার সাধারণ দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো চালিয়ে যাওয়া জরুরী, এবং একই সাথে এই রোগের ক্ষতিকর বিষয়টিও এড়িয়ে চলার ব্যবþহা নেয়া উচিত আর সেই ক্ষতিকর বিষয়টি হলো: সামাজিকভাবে অপদþহ হওয়া। কিন্তু এই বস্ত্র পরিধান কেবলই সাময়িক সমাধানের বিষয়। কেননা এই বস্ত্রগুলো অনেক সময় ধরে পরিধান করলে ঘামাচির মতো গুটি এবং অন্যান্য আরও জটিলতার দেখা দিতে পারে।
৪. পস্রাবের তাগিদ অনুভব করুন আর নাই করুন প্রতি ঘন্টায় একবার বাথরুমে যাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫. বাড়ির বাইরে গেলে প্রচুর পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি মূত্রথলি দিয়ে নির্গত তরলের গতি নিয়ন্ত্রণের অপারগতা সংক্রান্ত কোন সমস্যা আপনার থাকে।
২. যদি কোন ক্ষত বা রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বা লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন জ্বর আসা কিংবা পস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. নিম্নোক্ত শরীর চর্চার কৌশলগুলো রপ্ত করুন, এই ব্যায়ামগুলো মূত্রথলির পেশিগুলোকে আরও সক্রিয় করে তুলে মূত্র থলি দিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে তরলের নির্গমন রোধে সহায়ক হয়ে ওঠে:
১. যখন আপনি পস্রাব করতে শুরু করেন এবং শেষ করেন তখন উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন যে কোন কোন স্থানের পেশিগুলো এই শুরু এবং বন্ধের কাজটি করছে। পরে, ঐ পেশিগুলো নূন্যতম ১৫ থেকে ২০ বার একইভাবে সংকোচন ও সম্প্রসারণ করুন। দিনে তিনবার এই চর্চাটি করুন। কিছুদিন চর্চার পর চেষ্টা করুন যে পেশিগুলোকে সংকোচন করে নূন্যতম ১০ সেকেন্ড চেপে ধরে থাকতে পারেন কি না। এই ব্যায়াম চর্চা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়: কেবল আপনিই জানবেন যে এই ব্যায়ামটি আপনি করছেন।
২. আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।
৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন ব্ল্যাডার বা মূত্র থলির উপর চাপ প্রয়োগ করে।
৪. প্রচুর পরিমাণে সজীব ফল, শাক সব্জি এবং আস্ত খাদ্য দানা আহার করুন যাতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আপনার না হয়। কেননা কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে যে তীব্র চাপ অনুভূত হয় সেটা মূত্রথলির পেশিগুলোকে দুর্বল করে দেয়।
৫. মদ পান থেকে দূরে থাকুন, এবং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান থেকেও বিরত থাকুন কেননা এগুলো মূত্রথলিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলে অনাকাঙ্খিত তরল নির্গমনের সুযোগ করে দেয়।
৬. আপনার ডাক্তারের সাথে আলাপ করে জেনে নিন যে এই রোগ নিরাময়ের জন্যে আপনি বায়োফিডব্যাক (একটি পদ্ধতি যা দ্বারা কেউ নিজের শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে আগেভাগে অবহিত হতে সক্ষম) ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
Signs and Symptoms

1. Leaking a small amount of urine when coughing, exercising, laughing, or otherwise putting pressure on the bladder.

2. Uncontrollable urge to urinate.

3. Urinating without knowing it.



What to do now

1. Cross your legs if you feel a sneeze or cough coming on. Researches who tested this technique say it is a safe, simple way to cut down on or even eliminate stress incontinence.

2. Keep a diary of when you urinate unexpectedly. Note how much urine is lost and what you were doing at the time. This information will help your doctor determine the kind or kinds of incontinence you’re experiencing and make treatment more effective.

3. Wear disposable, absorbent undergarments if you’re going out and are worried about an accident. It’s important to continue your normal activities and avoid one of the dangers of incontinence: social isolation. But think of this only as a short-term solution. Wearing them too long can cause rashes and other complications.

4. Schedule a trip to the bathroom every hour, whether or not you have to urinate.

5. Avoid drinking a lot of liquid while you are away from home.



When to call a doctor

1. If you are experiencing any bladder control problems.

2. If you have signs of an infection, such as fever or pain during urination.



How to prevent it

Practice the following exercises, which tone the muscles that control urination:

1. As you start and stop the flow of urine sense which muscles you’re working. Later, contract and release them-at least 15 to 20 squeezes, three times a day. After some practice tighten the muscles for at least ten seconds each time. The exercises are completely private: You’re the only one who will know you’re doing them.

2. Lose extra pounds and exercise regularly.

3. Excess body weight puts pressure on the bladder muscles.

4. Eat a lot of fresh fruits and vegetables and whole grains to avoid constipation. The straining that accompanies constipation can weaken bladder muscles.

5. Avoid alcohol, and caffeine which can irritate the bladder and trigger leaks.

6. Ask your doctor about using biofeedback to treat your incontinence.

পস্রাবে জ্বালা-পোড়া

লক্ষণ ও উপসর্গ
১. পিঠের পেছনদিকে উদরের নিচে ব্যথা|
২. পস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ব্যথা হওয়া সহ অন্যান্য অস্বস্তিকর অনুভূতি।
৩. পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব কিন্তু খুবই সামান্য পস্রাবের নির্গমন।
৪. ঘোলাটে, কড়া গন্ধযুক্ত এবং রক্ত সমন্বিত পস্রাবের নির্গমন।
৫. পস্রাবের সাথে হলদেটে পদার্থের নির্গমন (মূত্রনালী দিয়ে)
৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সময় পীড়াদায়ক অনুভুতি বা ব্যথা পাওয়া।
কী করা উচিত
১. মদ, ক্যাফেইন, মশলাযুক্ত খাবার এবং এসিড সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করুন কেননা এগুলো আপনার পিত্ত থলিকে আরও বেশি সমস্যায় আক্রান্ত করে।
২. দৈনিক আট থেকে দশ গ্লাশ পানি খাবেন যাতে করে আপনার পস্রাবে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো গলে পস্রাব দিয়ে বেরিয়ে আসে। (তবে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যাবার আগে বেশি পানি খাবেন না, নচেৎ আপনার পস্রাবের ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব ঠিকমতো উদঘাটন করা সম্ভব হবে না।)
৩. একটা গরম কিছু বা হট ওয়াটার ব্যাগ বা বোতল চেপে ধরে ব্যথার þহানে রাখতে পারেন।
৪. যদি পস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দেয়া এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো আপনার শরীরে ইস্ট বা ছত্রাকের আক্রমণ ঘটায় সেক্ষেত্রে টক দই খেতে পারেন। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি তীব্র ব্যথা জেগে ওঠে এবং এই ব্যথা আপনার পাঁজর পেছনে নিচ থেকে শুরু হয়ে আপনার যৌনাঙ্গের দিকে বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো কিডনিতে পাথরের সমস্যা।
২. যদি আপনার জ্বর থাকে এবং জ্বর দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং আপনার পিঠে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা হয়, কিংবা আপনার কোমরের কাছে বা কোমরের উপরে ব্যথা করে, সেক্ষেত্রে আপনার কিডনিতে ক্ষতের সমস্যা রয়েছে।
৩. আপনি যদি নারী হন এবং পস্রাবের সময় যদি কষ্ট হয় এবং সেই সাথে যদি একটানা ব্যথা থাকে আপনার পিঠের নিম্নাংশে কিংবা তলপেটে বা উদরে; যদি যৌন মিলনের সময় কষ্ট হয়, এবং/কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, কিংবা হঠাৎ হঠাৎ না হয় বা হলে খুবই বেশি রক্তপাত হয়। সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো ডোমাটরিওসিস বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিজিজ হয়েছে।
৪. যদি পস্রাবে কষ্ট হয় এবং একইসাথে উদ্ভট কোন পদার্থ পস্রাবের সাথে শিশ্ন কিংবা যোনী পথ দিয়ে নির্গত হয় সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো যৌন সাহচার্য ঘটিত সংক্রামক কোন রোগ হয়েছে।
৫. যদি আপনি একজন পুরুষ হন এবং পস্রাবের সময় আপনার জ্বালা-পোড়া হয় কিন্তু পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন, পস্রাব থেমে থেমে নির্গত হয়, বীর্যপাতে কষ্ট হয়, কিংবা পেলভিস বা শ্রোণীতে কিংবা পিঠের নিম্নাংশে যদি ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো প্রস্টেট-এর সমস্যা রয়েছে।
৬. যদি আপনার পস্রাব রক্তাক্ত দেখা যায় কিংবা ঘোলাটে দেখা যায়
৭. যদি আপনার পস্রাবে জ্বালা পোড়া হয় কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে।
৮. যদি এই লক্ষণগুলো অপসারিত না হয় এবং চিকিৎসা স্বত্তেও লক্ষণগুলো আবার জেগে ওঠে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. প্রতিদিন নূন্যতম আট গ্লাস পানীয় খান সাথে পানি প্রচুর পরিমাণে পান করুন। ক্রানবেরির জুস খেতে পারেন, এটা মাঝে মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া থেকে শরীরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. পস্রাবের তাগিদ অনুভব করলে পস্রাব দমিয়ে রাখবেন না। এবং প্রতিবার পস্রাবের সময় আপনার মূত্রথলিটি পুরোপুরি খালি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে যত্নশীল হোন।
৩. যৌন সংসর্গের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন, কেননা এর ফলে যৌনমিলনের দরুন আপনার যৌনাঙ্গে কোন ব্যাকটেরিয়া গিয়ে থাকলে সেটা বেরিয়ে আসবে।
৪. বুদবুদ ওঠা পানিতে স্নান এড়িয়ে চলুন এবং সুগন্ধীযুক্ত টয়লেট্রিজগুলোও বর্জন করুন। একটা মৃদু এবং গন্ধহীন সাবান নিয়ে আপনার নিম্নাঙ্গের পরিধেয়গুলো ধৌত করুন। সুগন্ধীযুক্ত এবং রুক্ষ বা ক্ষারীয় পণ্যগুলো মূত্রনালী এবং এর চারপাশের ত্বকে প্রদাহ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫. সুতির কাপড়ের তৈরি নিম্নাঙ্গের বস্ত্রাদি পরিধান করুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।
৬. আপনার যৌনাঙ্গ প্রতিদিন একবার পরিস্কার পানি দিয়ে ধৌত করুন।
মহিলাদের ক্ষেত্রে:
১. আপনি যদি ডায়াফার্ম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে এটা উষä ফেনায়িত জলে ধুয়ে সাবধানে জল নিংড়িয়ে শুকতে দিন। যদি আপনার ইনফেকশান বা ক্ষতগুলো পুন:পুন: জন্মাতে থাকে সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন সেটা কি ডায়াফার্মের সঠিক আকার না হবার কারণে ঘটছে কি না। যদি আকার পরিবর্তন করার পরও আপনার সমস্যার সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রনের অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
২. মূত্রনালীকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখতে সবসময় টয়লেট থেকে বেরোবার আগে নিজেকে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন।

Signs and Symptoms
1. Pain in the lower abdomen of lower back.
2. Burning, stinging, or other discomfort when urinating.
3. Frequent urination, but with small amounts of urine passed each time.
4. Cloudy, strong-smelling, or blood tinged urine.
5. Yellow discharge from the urinary tube (urethra).
6. In women, pain experienced during sexual in intercourse.
What to do now
1. Avoid alcohol, caffeine, and spicy or very acidic foods that may further irritate the bladder.
2. Drink eight to ten glasses of water a day to dilute the concentration of bacteria in your urine. (But don’t drink lots of water if you’re going to see your doctor; this can dilute your urine sample, skewing the results of your test).
3. Use a heating pad or hot-water bottle to ease your pain.
4. Eat plain yogurt if you get a yeast infection after taking antibiotics prescribed for your urinary tract infection. The bacteria in the yogurt help control yeast.

When to call a doctor
1. If your have a sharp pain that comes in waves, beginning in the back below the ribs and moving toward the groin; you may have kidney stones.
2. If you have a rapidly rising fever and sudden, intense pain in your back, near or above your waistline; you may have a kidney infection.
3. If you are a woman and painful urination is accompanied by tenderness and a dull ache or pain in your lower back and abdomen; pain during intercourse; and/or irregular, missed, or unusually heavy menstrual periods. You may have a dometriosis  or pelvic inflammatory disease.
4. If painful urination is accompanied by an abnormal discharge from the penis or vagina; you may have a sexually transmitted disease.
5. If you are a man and painful urination is accompanied by a frequent need to urinate, an interrupted urinary stream, painful ejaculation, or pain in the pelvis or lower back. you may have a prostate problem.
6. If your urine looks bloody or very cloudy.
7. If you experience painful urination or the symptoms of a urinary tract infection.
8. If your symptoms don’t go away or if they come back despite treatment.
How to prevent it
1. Drink eight glasses of fluids-including lots of water-each day. Try cranberry juice, too, which can sometime discourage an infection from developing.
2. Don’t postpone urinating when you have the urge to go. And empty your bladder completely every time your urinate.
3. Wash before and after sex, this helps flush out bacterial that may have entered the urinary tract during intercourse.
4. Avoid bubble bath and scented personal hygiene products. Use a mild, unscented detergent to launder underwear; scented or harsh products can irritate the skin around the urethra making infection more likely.
5. Wear cotton-crotch underwear and loose fitting clothes.
6. Wash genitals with plain water once a day.
For woman:
1. If you use a diaphragm, wash it after each use with warm, soapy water, then carefully rinse it and dry it. If you have repeated infections, ask your doctor to check whether it fits properly. If a different size doesn’t help, consider using another method of birth control.
2. To keep the urinary tract free of bacteria, always wipe yourself from to back after using the toilet.

কিডনিতে স্টোন বা পাথর হওয়া

 লক্ষণ ও উপসর্গ
১. তীব্র ব্যথা জেগে ওঠা - সাধারণত শরীরের একপাশে শুরু হয় এবং পাঁজরের পেছন থেকে শুরু হয়ে যৌনাঙ্গের দিকে ধাবিত হতে থাকে।
২. বার বার পস্রাবের তাগিদ অনুভব করা স্বত্তেও পস্রাব করার সময় কেবল সামান্য পরিমাণ পস্রাবই নির্গত হয় তার বেশি হয় না, কিংবা একেবারেই পস্রাব না হওয়া।
৩. থেমে থেমে পস্রাব নির্গত হওয়া|
৪. পুরুষদের ক্ষেত্রে, শিশ্নে এবং অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া|
৫. রক্তাভ কিংবা গাঢ় পস্রাব|
৬. বিতৃষন্না এবং বমি|
কিডনিতে অন্য কোন রোগ হলে বা ক্ষত হলে সেটার উপসর্গ হতে পারে:
১. জ্বর|
২. পস্রাবে জ্বালাপোড়া|
৩. এবং ঘোলাটে পস্রাব।

কী করা উচিত
১. যদি আপনি কিডনিতে পাথর হবার অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন, দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস। প্রচুর পানি পান করলে সেটা কিডনির পাথরগুলো ধুয়ে নির্গত করে দিতে সক্ষম হবে এবং অন্যান্য পাথর হবার সুযোগ নষ্ট করবে।
২. ব্যথা থেকে রেহাই পাবার জন্যে ব্যথা নিরাময়কারী কোন ওষুধ ডিসপেন্সারি থেকে কিনে সেবন করতে পারেন, তবে অবশ্যই সে ওষুধটি ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

১. যদি আপনার শরীরের একদিকে তীব্র ব্যথা জেগে ওঠে, এবং সেটা এক জায়গা থেকে অন্য দিকে প্রবাহিত হয়, যেমন আপনার পিঠের দিকে কিংবা উদরের বা তলপেটের দিকে।
২. যদি পস্রাবে জ্বালাপোড়া বা কষ্ট হয়।
৩. যদি পস্রাবের সাথে রক্ত নির্গত হয়
৪. যদি এই লক্ষণগুলোর সাথে আবার জ্বরও থাকে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
কিডনিতে পুন:পুন: পাথর হতে পারে, আর তাই যাতে করে পাথর জন্মাতে না পারে সেজন্যে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন:
১. একদিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন- গরমের দিনে আরও বেশি পান করুন।
২. এবং ডাক্তারের কাছে ওষুধের বিষয়ে পরামর্শ নিন এবং আপনার খাদ্য তালিকায় কি পরিবর্তন সাধন করা যায় সে বিষয়ে আলাপ করুন।
Signs and Symptoms

1. Sharp pain - usually on one side of the body that starts in the back below the ribs and move toward the groin.

2. Frequent urge to urinate but inability to pass more than small amounts of urine at a time.

3. Interruption of the stream during urination.

4. In men, pain in testicles and penis.

5. Bloody or dark urine.

6. Nausea and vomiting.

You may also have a kidney infection if you have:

1. Fever.

2. Painful urination.

3. Cloudy urine.



What to do now

1. If you’re having a kidney stone attack drink lots of water-at least eight to ten glasses a day. This will help flush the stone out of your system and will discourage new ones from forming.

2. Take an over-the-counter pain reliever or a pain reliever prescribed by your doctor.



When to call a doctor

1. If you have waves of sharp pain in your side, back, or abdomen.

2. If urination is difficult or painful.

3. If you have blood in your urine.

4. If you develop fever with your symptoms.



How to prevent it

Recurrences are common, so take the following steps to try to prevent them:

1. Drink at least eight glasses of water a day-more in hot weather.

2. Ask your doctor about prescribing drugs or changes in your diet

আলসার এবং গ্যাসট্রিক্স

আলসার এবং গ্যাসট্রিক্সকের লক্ষণ ও উপসর্গ
১. উদর বা তলপেটের উপরিভাগে অস্বস্তিবোধ কিংবা ব্যথা|
২. খাবারের প্রতি অভক্তি|
৩. বিতৃষনাবোধ|
৪. বুক জ্বলাপোড়া করা|
৫. বমি হওয়া|
৬. ঢেকুর ওঠা এবং গ্যাস হওয়া|
৭. কালো বা রক্তমিশ্রিত মল|

আলসার এবং গ্যাসট্রিক্স  হলে কী করা উচিত
১. যদি আপনার মনে হয় যে আলসার কিংবা গ্যাসট্রিটিস হয়েছে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
২. প্রচুর পরিমাণে পানি এবং অন্যান্য পানীয় পান করুন যাতে করে আপনার শরীর পানি শূন্যতায় আক্রান্ত না হয়, তবে দুধ জাতীয় পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন, কেননা এগুলো এসিডের উৎপত্তিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৩. এন্টাসিড সেবন করুন।
৪. এ্যাসপিরিন ইবুপ্রুফেন এবং অন্যান্য ননস্টেরোয়ডাল এবং প্রদাহ-নিরোধোক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।


আলসার এবং গ্যাসট্রিক্স  হলে কখন ডাক্তার দেখাবেন
১. যদি আপনার বমির সাথে রক্ত বের হয় কিংবা অন্য কিছু বের হয় যেটা দেখতে কফির পাতার গুড়োর মতো মনে হয়, সেক্ষেত্রে এটা হয়তো আপনার দেহাভ্যন্তরিণ রক্তপাতের লক্ষণ।
২. যদি আপনার মধ্যে আলসারের লক্ষণগুলো ধরা পড়ে এবং একই সাথে আপনার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হয়; সেক্ষেত্রে আলসার হয়তো আপনার পাকস্থলী কিংবা গ্রহণী বা ডুডেনামের দেয়াল ছিদ্র করে ফেলছে বা ক্ষত সাধন করছে।
৩. যদি আপনার জ্ঞান হারাবার মতো অবþহা হয়, ঠাণ্ডা লাগে, এবং স্যাঁতস্যাঁতে বোধ হয় এবং আপনি প্রকৃতই জ্ঞান হারান। এগুলো হয়তো প্রচুর রক্ত ক্ষরণের কারনে উদ্ভুত কিছু উপসর্গ।
৪. যদি আপনার আলসার থাকে এবং একই সাথে রক্তশূন্যতার লক্ষণগুলোও দেখা যায়, যেমন অবসাদগ্রস্ততা, গায়ের রঙ্গে মলিনতা; এক্ষেত্রে আলসার থেকে হয়তো রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
৫. যদি আপনার মলের সাথে গাঢ় লাল রক্ত বের হয়। কিংবা মলের রঙ রক্তাভ কিংবা কালো হয়।
৬. যদি আপনার পাকস্থলিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
৭. যদি আপনার আলসার এবং গ্যাসট্রিটিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরেও অপসারিত না হয়।

আলসার এবং গ্যাসট্রিক্স  কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. আপনি যদি ধুমপায়ী হন তবে ধুমপান ছেড়ে দিন|
২. দৈহিক ও মানসিক চাপ থেকে স্বস্তি পেতে যা যা করণীয় করুন।
৩. যদি আপনার মদ বা এ্যালকোহল মিশ্রিত কোন পানীয় পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে খুব কম পরিমাণে করবেন।
৪. এ্যাসপিরিন এবং ইবুপ্রোফেনের ব্যবহার যতোটা কমানো সম্ভব করুন।
৫. যেসব খাবার আপনার পাকস্থলিতে সমস্যা করে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
৬. আলসার যাতে আবার না হয়, সে জন্যে যে যে ওষুধগুলো ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আপনি আলসারের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সেবন করছেন সেগুলো সঠিকভাবে সঠিক সময়ে সেবন করুন।

Signs and Symptoms
1. Pain or discomfort the upper part of the abdomen.
2. Loss of appetite.
3. Nausea.
4. Heartburn.
5. Vomiting.
6. Belching or gas.
7. Dark or bloody stools.
What to do now
1. Go to a doctor if you think you have a stomach ulcer or gastritis.
2. Drink lots of water and other liquids to prevent dehydration, but avoid milk, which can increase acid secretion.
3. Take antacids.
4. Avoid aspirin ibuprofen, and other non-steroidal anti-inflammatory drugs.

When to call a doctor
1. If you vomit blood or material that looks like coffee grounds; these symptoms indicate internal bleeding.
2. If you develop symptoms of an ulcer along with severe back pain; your ulcer may be perforating the stomach or duodenum wall.
3. If you feel faint, cold, and clammy, or you actually do faint. These may be symptoms of a shock, usually resulting from massive blood loss.
4. If you have an ulcer and develop symptoms of anemia, such as fatigue and pallid complexion; your ulcer may be bleeding.
5. If you pass stools that appear dark red, Bloody or black.
6. if you have severe stomach pain.
7. If you have symptoms of an ulcer or gastritis that last more than two weeks.

How to prevent it
1. If you smoke, quit.
2. Do what you can to reduce stress.
3. If you drink alcoholic beverages, do so in moderation.
4. Minimize use of aspirin and ibuprofen.
5. Avoid foods that upset your stomach.
6.To prevent an ulcer from recurring, carefully follow instructions for any ulcer drugs you are taking.